বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে যেসব গুম, খুন ও গোপন আটকের অভিযোগ আছে সেগুলোর দ্রুত নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
একইসঙ্গে নিখোঁজ ও খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে এর সঠিক জবাব এবং দোষীদের বিচার নিশ্চিতের দাবি করেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ এই দাবি করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ২০১৩ সাল থেকে বিরোধী দলের কর্মীসহ কয়েক শ’ ব্যক্তিকে অবৈধভাবে আটক করেছে। তাদের গোপন স্থানে লুকিয়ে রেখেছে। গুম করার এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ২০১৬ সালেই কমপক্ষে ৯০ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। ২১ জনকে পরে হত্যা করা হয়েছে। আর নয়জনের অবস্থা অজানা।
আর ২০১৭ সালের প্রথম ৫ মাসে ৪৮ জন নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন হেফাজতে তাদের সঙ্গে নির্যাতন ও রূঢ় আচরণের অভিযোগ আছে।
প্রতিবেদন অনুসারে বিএনপির ১৯ জন কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের তুলে নেয়া হয়।
প্রতিবেদন তৈরিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ১০০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস। প্রতিবেদনে অভিযোগ ও আইনি কাগজপত্র যুক্ত করা হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া–বিষয়ক পরিচালক ব্যাড অ্যাডামস বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে যথার্থ তথ্য থাকা সত্ত্বেও সরকার আইনের তোয়াক্কা না করে এই ভয়ংকর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে আটক, তাদের দোষ ঠিক করা, শাস্তি নির্ধারণ, তাদের বাঁচিয়ে রাখা না রাখার সিদ্ধান্তের পূর্ণ স্বাধীনতা যেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেয়া হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে মোট ৩২০টি নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।
এইচটি/ এমকে